ইতিবাচক, নেতিবাচক মন্তব্য, পূর্ণিমার প্রশ্নত্তোর

 দীর্ঘ বিরতির পর আবারও অন্য রূপে সিনেমায় ফিরছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। 

    মেরিল–প্রথম আলোর মঞ্চে পুরস্কার নিতে এসেছিলেন আয়নাবাজি ছবির পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী। সেদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালক পূর্ণিমা রসিকতা করে বলেছিলেন, পরেরবার গুটিবাজি নামে কোনো ছবি করলে যেন নায়িকা হিসেবে তাঁকে নেন। গুটিবাজি না করলেও ওয়েব ফিল্ম মুন্সিগিরির সুরাইয়া চরিত্রে পূর্ণিমাকে নিয়েছেন অমিতাভ। এই ছবি ও ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে যাত্রা শুরু করা প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি।



কেমন আছেন?

বেশ ভালো। কাজের মধ্যে থাকলে ভালোই থাকি। আজ (ওয়েব ফিল্মে চুক্তির দিন) একটা বিশেষ দিন, আজ আরও বেশি ভালো। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে যাচ্ছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ছবির ঘোষণা হলো।


চরকি নতুন প্ল্যাটফর্ম, অমিতাভ রেজার প্রথম ওয়েব ফিল্ম, আপনারও। নানা নতুনের অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। কেমন লাগছে?

নতুন কিছুর জন্যই আমরা অধীর আগ্রহে বসে থাকি। সব সময়ই চাই জীবনে নতুন কিছু অ্যাড হোক, মানুষ আমাদের নতুন করে চিনুক। একই রকম চরিত্রে আমাদের দেখতে দেখতে তাদের যেন একঘেয়েমি তৈরি না হয়।


রোমান্টিক নায়িকা থেকে একলাফে গোয়েন্দা গল্পের অভিনেত্রী হতে যাচ্ছেন। এতটা ব্যতিক্রম কি চেয়েছিলেন?

আমার কাছে এ ধরনের গল্প আগে কখনো আসেনি। যখনই অমিতাভ ভাই গল্পটা বললেন, শুনে রাজি হয়ে গেলাম। গল্পে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র আছে। আমার যেটি বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে, আমি সেটি বেছে নিয়েছি। এর মধ্যে চিত্রনাট্যের কাজ আরও খানিকটা এগোবে। আমাদের এখনো বেশ কিছু প্রস্তুতি বাকি। সিনেমা করতে গেলে অনেক সময় একই রকম লুক-গেটআপে করা যায়। এই কাজে সেটা হবে না। লুক টেস্ট, স্ক্রিন টেস্ট, রিহার্সাল—অনেকগুলো প্রক্রিয়া পার হতে হবে। শুটিংয়ের আগে রিহার্সালে সময় বেশি দিতে হবে। আমি আসলে একটা ভালো কাজ করতে চাই, ভালো অভিনয় করতে চাই, যেটা মানুষ মনে রাখবে। যেহেতু এটা আমার প্রথম ওয়েব ফিল্ম, চরকির সঙ্গে করা প্রথম কাজ, সবকিছুই আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আসলে এমনটাই চেয়েছিলাম।



আপনারা যখন কাজ শুরু করলেন, তখন ছিল টিভি আর সিনেমা হল। এখন মাধ্যম বেড়েছে। ভিডিও স্ট্রিমিং এখন নতুন, এখানে আপনিও নতুন। ব্যাপারটাকে কীভাবে দেখছেন?

কাজকে আমি কাজ হিসেবেই দেখি। সেটা যেখানেই হোক—টিভি, রেডিও, নাটক বা স্ট্রিমিং ওয়েব সাইটে। আমি নাটক করছি, টিভিসি করছি, ওভিসি করছি, উপস্থাপনা করছি, মঞ্চের অনুষ্ঠান করছি, ফিতাও কাটছি। প্রতিটি কাজই আমার কাছে নতুন। প্রতিটি আমার কাছে কাজ। আমি কাজকে রেসপেক্ট করি। মাধ্যম নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।


স্ট্রিমিং সাইটগুলোর দেশি-বিদেশি কিছু কনটেন্ট নিয়ে সহিংসতা, অশ্লীলতার অভিযোগ শোনা গেছে। এ প্রসঙ্গে আপনার ভাবনা কী?

নির্ভর করছে, আমি কী চুজ করছি। ওটিটিতে স্বাধীনতা আছে। ভালগারিজম বা খোলামেলা কিছু যদি থাকেও, সে রকম গল্প বেছে নেওয়া বা না নেওয়া আমার ওপর নির্ভর করে। যদি আমার মনে হয় আমি কাজ করতে পারব, করব। নয়তো করব না। নেগেটিভ, পজিটিভ আলোচনা মানুষ তৈরি করবেই। সিনেমা নিয়েও মানুষ সেসব করে। সিনেমায় কি ভালগারিজম ছিল না? আমরা কিন্তু ভালো সিনেমাগুলো করেই বেরিয়ে এসেছি।



বড় পর্দার সিনেমার খবর কী?

করোনার কারণে দুটো কাজ আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছবি দুটো রিলিজ হবে হয়তো। তবে এখন আমার কাছে যত কাজের প্রস্তাব আসছে, বেশির ভাগই ওটিটির।


আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

আপনাকেও ধন্যবাদ।।


Share:

0 Comments:

Post a Comment

Facebook Autolike

xx/hot-posts

BTemplates.com

xx/feat-big
Powered by Blogger.

Search This Blog

Youtube

4/xx/grid-big

News

6/xx/grid-small

Android apps

3/xx/grid-small

Computer

3/xx/col-left

facebook tips & tutorial

3/xx/post-list

Android

3/xx/col-right

Pages

Blog Archive